পশ্চিমবঙ্গে নেট মিটারিংয়ের জন্য 3 ফেজ এবং 5 কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হয়ে থাকে। কলকাতার মতো শহরে এসি, কুলার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক উপকরণগুলি প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়। যার ফলে মাসের শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুতের বিল আসে। অন্যদিকে, লকডাউনের সময় থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করা হয়েছে। তাই অনেক লোক যারা জব করছেন তারা এখনও বাড়িতে কাজ করছেন। যার কারণে তাদের বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসছে। লকডাউনের আগে সাধারণত একটি বাড়ির জন্য যে বিদ্যুৎ বিল আসত তা লকডাউনের পরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে বেড়েছে। তাই আজকাল লোকেরা বিদ্যুতের বিল কমাতে নতুন নতুন উপায় অবলম্বন করছে। সৌর শক্তি তার মধ্যে একটি। বাড়িতে একটি সোলার সিস্টেম ইনস্টল করে, আপনি আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারেন। অথবা বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আজকের আর্টিকেল আমরা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
Process
কলকাতার মতো শহরে পাওয়ার কাট বিরল। সুতরাং একটি অন-গ্রিড সোলার সিস্টেম ইনস্টল করা আপনার পক্ষে ভাল হবে। তো চলুন জেনে নেই অনগ্রিড সোলার সিস্টেম বসানোর প্রক্রিয়া।
নেট মিটার (Net Meter)
এই প্রক্রিয়ায়, প্রথমে যাদের 3 কিলোওয়াট মিটার আছে তাদের মিটার 5 কিলোওয়াটে অপগ্রেড করতে হবে, সেটাও 3 ফেজ। কারণ নেট মিটারিংয়ের জন্য 3 ফেজ প্রয়োজন হয়ে থাকে।
সোলার প্যানেল (Solar Panel)
আপনি আপনার বাড়িতে লুম সোলার বাইফেসিয়াল সোলার প্যানেল বা সাধারণ সোলার প্যানেল ইনস্টল করতে পারেন। এটি আপনার রুফটপের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। যা সেখানকার আবহাওয়া অনুযায়ী হয়ে থাকে। বাজারে 2-3 ধরনের সোলার প্যানেল পাওয়া যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য এমন সোলার প্যানেলের প্রয়োজন রয়েছে, যা মেঘলা আবহাওয়াতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। তেমনই একটি সোলার প্যানেল হল লুম শার্ক সোলার প্যানেল। এই সোলার প্যানেল কম জায়গায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এটি কম সূর্যালোক বা মেঘলা আবহাওয়াতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখে। এই প্যানেলটি এত বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যে ঘরে পাওয়ারের অভাব হবে না।
সোলার ইনভার্টার (Solar Inverters)
3 ফেজে অনগ্রিড ইনভার্টার থাকবে। সোলার ইনভার্টার সোলার প্যানেল থেকে উত্পাদিত ডিসি আউটপুটকে এসি সরবরাহে রূপান্তর করতে সহায়তা করে।
জিরো এক্সপোর্ট ডিভাইস (Zero Export Device)
যেখানে নেট মিটার লাগানো সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে জিরো এক্সপোর্ট ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে দিনভর সব বৈদ্যুতিক উপকরণগুলি সৌরশক্তির মাধ্য়মে চলবে। এক বছর বা ২ বছর পর নেট মিটারের অনুমোদন পাওয়া গেলে নেট মিটার বসানো যেতে পারে।
অন গ্রিড সোলার সিস্টেমের লাভ (Benefits Of On Grid Solar System)
আপনি যেত কিলোওয়াট সোলার সিস্টেম ইনস্টল করবেন আপনার বিদ্যুৎ বিল থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি একটি অন-গ্রিড সোলার সিস্টেম ইনস্টল করে আপনার বিদ্যুৎ বিল 80 শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে এখন বিদ্যুতের বিল 40 থেকে 50 শতাংশ কমানো যেতে পারে। এর প্রধান কারণ এখানে নেট মিটারিংয়ের কোনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
এছাড়া পরিবেশের জন্যও সৌর শক্তি খুবই উপকারী। আমরা প্রাকৃতিকভাবে সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। এর থেকে কোনও দূষণ হয় না। সৌরশক্তি অফুরান ও সর্বত্র পাওয়া যায়। বর্তমানে আমরা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। এটা পরিবেশের জন্যও ভালো হয়ে থাকে না।
Conclusion
আপনি যদি এই নিবন্ধটি পড়ার পরে আপনার বাড়িতে 5kW অন গ্রিড রুফটপ সোলার ইনস্টল করার পরিকল্পনা করছেন। তবে আরও তথ্যে জানার জন্য় loomsolar.com সাইট এ ভিজিট করুন। এছাড়া আপনি বাড়িতে একজন ইঞ্জিনিয়র কে ডাকতে পারেন বা আপনার এলাকায় লুম সোলারের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
1 comment
rana
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান পোষ্টটি দেওয়ার জন্য palli bidyut bill
check online বিকাশ থেকে প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড বিল দিতে জানতে পেরে ভালো লাগলো কিন্ত এমনও সময় আসে মাঝে মাঝে যে সব সাইটে ভাল তথ্য পাইনা | গুগলে সার্চ করে এই সাইটটি খুঁজে
পেলাম । সত্যি খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট, আশা করি পরবর্তীতে এরকম আরো টিউটোরিয়াল পাবো। আমি চাই সকল কিছু আপনার সাইটে দেখতে এ ধরনের ।সত্য কথা বলতে গুগলে সার্চ করে
দেখলাম লেখার মধ্যে সঠিক ও সকল কিছুর মাধুর্যতা নিয়ে আছে ।গুগলে সার্চ করে দেখলাম
check-online.html" > palli bidyut bill payment নিয়ে পড়ে আরও জানলাম এটুকু বিশ্বাস আমি নিজেই palli bidyut bill payment করতে পারবো ।